স্থায়ী আবাসনে হজ্জ ২০২৫ এর প্যাকেজ
Hajj Package 1
Price: 6,85,000 TK
Hajj Package 2
Price: 5,50,000 TK
হজ্জ প্যাকেজ : 0১
মূল্য : ৬,৮৫,০০০ টাকা
গমন ও প্রত্যাবর্তনের তারিখ :
বিমান শিডিউল নিশ্চিত হওয়ার পর আলোচনা সাপেক্ষে গমন ও প্রত্যাবর্তনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে ।
আবাসন:
মক্কা : হারাম শরীফ এর সন্নিকটে ন্যূনতম ৭০০ /১০০০ মিটার দূরত্বে সমতলে অবস্থিত হোটেল / বাড়ি, লিফট সু-ব্যবস্থা আছে ।
মদিনা : হারাম শরীফ এর সন্নিকটে ন্যূনতম ৭০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত হোটেল / বাড়ি, লিফলেট
সু-ব্যবস্থা আছে ।
রুম -সুবিধা:
সুপরিসর বাড়িতে/ হোটেল সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রুম, সংযুক্ত বাথরুম, মেট্রেস, বেডশিট ও বালিশ, ঠান্ডা ও গরম পানির সু ব্যবস্থা আছে । প্রতি রুমে ২ /৩/৪ বেট সুন্দরভাবে থাকার ব্যবস্থা থাকবে ।
আহার-সুবিধা:
দেশীয় বাবুর্চির তত্ত্বাবধানে রুচিসম্মত বাংলাদেশী ২(দুই ) বেলা খাবার তৈরি করে পরিবেশন সুব্যবস্থা থাকবে । যাতায়াত জেদ্দা – মক্কা মদিনা,মিনা- আরাফাত, মুজদালিফা ,মক্কা – মদিনা যাতায়াতের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নির্ধারিত বাসের সুব্যবস্থা ।
* কোরবানি ও নাস্তা প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত নয় ।
হজ্জ প্যাকেজ :0২
মূল্য : ৫,৫০,০০০ টাকা
গমন ও প্রত্যাবর্তনের তারিখ :
বিমান শিডিউল নিশ্চিত হওয়ার পর আলোচনা সাপেক্ষে গমন ও প্রত্যাবর্তনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে ।
আবাসন:
মক্কা : হারাম শরীফ থেকে ১৪০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে সমতলে অবস্থিত হোটেল / বাড়িতে লিফটের, সুব্যবস্থা আছে ।
মদিনা : হারাম শরীফ থেকে ৭ ০০ মিটার দূরত্বে সমতলে অবস্থিত বাড়ি / হোটেল লিফটের সু – ব্যবস্থা আছে ।
রুম – সুবিধা:
সুপারিসর বাড়িতে সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রুম , সংযুক্ত বাথরুম ,মেট্রোস, বেডশিট ও বালিশ, ঠান্ডা ও গরম পানির সু-ব্যবস্থা আছে । প্রতি রুমে সুন্দরভাবে থাকার সুব্যবস্থা থাকবে ।
আহার-সুবিধা:
দেশীয় বাবুর্চির তত্ত্বাবধানে রুচিসম্মত বাংলাদেশী ২(দুই )লা খাবার তৈরি করে পরিবেশন সু-ব্যবস্থা থাকবে । যাতায়াত জেদ্দা – মক্কা , মিনা – আরাফাত, মুজদালিফা ,মক্কা – মদিনা যাতায়াতের জন্য শীততাফ নিয়ন্ত্রিত মোয়াল্লেমের নির্ধারিত বাসের সু-ব্যবস্থা ।
* কোরবানি ও নাস্তা প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত নয় ।
(১) দমে শুকুর বা কুরবানী
(২) বাংলাদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা মেডিকেল চেকআপ খরচ, প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণে যাতায়াত খরচ ও বায়োমেটিক ফিংগারিং যাতায়াত খরচ ।
(৩) ঢাকা-জেদ্দা-মক্কা-মদিনায় যাতায়াতের পথে খাবার ।
(৪) ড্রাইভার, লেবার বখসিস ।
(৫) মিনায় অবস্থানকালীন মক্কা / বাসায় যাতায়াত ও খাওয়া খরচ (যদি কারো প্রয়োজন হয়) ।
(৬) নফল উমরা করার যাতায়াত খরচ (যদি প্রয়োজন হয়) ।
(৭) তায়েফ, জেদ্দা, বদর, জীন পাহাড় ইত্যাদি ভ্রমণ খরচ (যদি কেউ যেতে চান) ।
(৮) হুইল চেয়ার (যদি প্রয়োজন হয়) ।
(০৯) হজ্জ বা উমরার পর মাথা মুন্ডন খরচ।
(১০) প্যাকেজ উল্লেখ নেই এমন কোন খরচ।
(১) পাসপোর্টের ছোট ব্যাগ ।
(২) জুতার ব্যাগ ।
(৩) পুরুষের ইহরামের সময় পরিধান করার জন্য একটি রুমাল ।
(৪) মহিলাদের হিজাব ।
(৫) মুযদালিফায় কংকর কুড়ানোর ব্যাগ ।
(৬) সাত চক্করের তাসবীহ , এগুলোর কোনটি কেউ গ্রহণ না করলে এ বাবদ কোন টাকা
ফেরত দেয়া হবে না।
প্রত্যেক হজ্জযাত্রীকে এজেন্সী আয়োজিত ও সরকারী ভাবে আয়োজিত হজ্জ প্রশিক্ষণে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে। পরিবেশ-পরিস্থিতির আলোকে হজযাত্রীদের কল্যাণে প্রতি বছর বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের নিয়ম-কানুন কিছু না কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। কেউ আগে হজ্জ করেছেন, অনেকবার করেছেন, অনেক অভিজ্ঞতা আছে এসব অজুহাতে প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। হজ্জের মূলকাজ শুরুর সময় প্রতিটি ইভেন্টের আগে মিনা-আরাফাত ও মক্কা শরীফ এবং মদিনা শরীফে প্রয়োজনীয় ব্রিফিং প্রোগ্রামে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে।
হজের সফরে প্রত্যেক হাজী সাহেবদের জন্য আমাদের দেওয়া রুমাল / হিযাব ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। পুরুষগণ এহরামের কাপড়ের উপরে রুমাল পরিধান করবে। মহিলাগন হিযাব পরিধান করবে ।
প্রতি ৪০-৪৪ জন হজযাত্রীর জন্য একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ, মুত্তাকী গাইড সার্বক্ষণিক তদারকী করবেন। পুরো সফরে ইনশাআল্লাহ এজেন্সীর মালিক হজ্জযাত্রীদের সাথে থেকে সরাসরি সকল কার্যক্রম তদারকী করবেন ।
ডায়াবেটিকস, হাইপ্রেসার, হার্ট্, গ্যাস্টিক ইত্যাদি যে কোন রোগের জন্য যাহারা নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন তাদের ৪৫ দিনের ঔষধ সনদপ্রাপ্ত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনসহ বড় ল্যাগেজে বুকিং দিয়ে সাথে নিতে হবে। ০৩ (তিন) দিনের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সাথে রাখতে হবে। ঔষধ বেশী হলে লাগেজের বিভিন্ন জায়গায় ভাগ ভাগ করে ঔষধ রাখতে হবে। আল্লাহর রহমতে যাদের কোন অসুখ নেই তারা ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, শরীর ব্যাথা, ডিসেন্ট্রি, পাতলা পায়খানা ইত্যাদির জন্য কিছু ঔষধ ও খাবার স্যালাইন সাথে নিবেন। আল্লাহ না করুন মক্কা-মদিনায় গিয়ে বড় ধরণের কোন অসুখ-বিসুখ হলে সেখানে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ, সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের বিধি মোতাবেক প্রত্যেক হজযাত্রী মালামাল পরিবহন করবেন। বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের আইন বিরোধী কোন মালামাল নিলে তার দায় তার সংশ্লিষ্ট হজযাত্রী বহন করবেন। অতিরিক্ত মালামালের জন্য বিমানে ওভারওয়েট চার্জ হজ্জযাত্রীগণ বহণ করবেন। মালামাল লোড-আনলোডের সময় লেবার ও ড্রাইভারদের বখশিশ (যদি প্রয়োজন হয়) হজ্জযাত্রী বহন করবেন।
জেদ্দা হতে মক্কা, মক্কা হতে মদিনা, মদিনা হতে জেদ্দা বা মক্কা বা মদিনা এয়ারপোর্ট যাতায়াতের জন্য সিটিং সার্ভিস এসি বাস থাকবে। মিনা-আরাফাতের তাবু মিনা-আরাফাতের তাবুতে সকল প্যাকেজের হাজীগণ একই ধরণের তাবুতে অবস্থান করবেন। বাংলাদেশের ৯৫% হজযাত্রীর তাবু এই ক্যাটাগরির। ৪র্থ ক্যাটাগরীর অধিকাংশ তাৰু মিনা এক্সটেনশনে থাকে। ডি ক্যাটাগরীর তাবু জামারাত হতে দূরে হলেও মুযদালিফা হতে কাছে হয়। প্রয়োজন হলে ওখান থেকে বাসে মক্কায় যাতায়াত করা যায়।
মক্কা-মদিনার ঐতিহাসিক স্থান সমূহ এজেন্সী নিজ খরচে উন্নত মানের এসি বাসে করে দেখানোর ব্যবস্থা করবে। ইনশাআল্লাহ অভিজ্ঞ আলেম গাইড সাথে থেকে প্রতিটি স্থানের সঠিক ইতিহাস, করণীয়-বর্জনীয় বিষয়ে আপনাদেরকে অবহিত করবেন।
সৌদি সরকারের বিধি-নিষেধ না থাকলে তায়েফ, জেদ্দা, আরব সাগর, বদর, মদিনার জ্বীন পাহাড় ইত্যাদি স্থানের বিয়ারাহ করতে চাইলে প্রত্যেক হজযাত্রী নিজ খরচে করবেন। এজেন্সী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে ।
সকল প্যাকেজের জন্য প্রযোজ্য:
(১) দুপুর এবং রাতে ভাতের সাথে রুই, কাতল, চিংড়ী, সরপুটি, শিং, কাচকি মাছ হতে যে কোন একপ্রকারের মাছ, ডিম, ফার্ম/ লেয়ার মুরগী/গরু/খাসির গোশতের মধ্য হতে একপ্রকারের গোশত দেয়া হবে। প্রতিদিন খাবারে বৈচিত্র্য থাকবে। খাসির গোশত ও মুরগীর গোশত ছাড়া বাকী সব ফ্রিজাপ করা মাছ বা গোশত। মক্কা-মদিনায় এসব তাজা পাওয়া যায় না। আরব সাগরের তাজা মাছ আমাদের হজ্জযাত্রীগণ খেতে পারেন না। কেউ রুটি খেতে চাইলে ভাতের পরিবর্তে রুটি দেয়া যাবে। তরকারীর মেনু একই রকম থাকবে। রুটি বলতে সৌদি বেকারী হতে ক্রয়কৃত রুটি। আমাদের দেশে তৈরিকৃত রুটির মত নয়। হজ্জের কাজ শেষ করে সম্ভব হলে কুরবানীর গোশত ও রুটি দেয়া হবে। প্রতিদিনের খাবারের মেনু ইনশাআল্লাহ আগেই অবহিত করা হবে। খাবার রুমে দেয় হবে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ রুমে খাবারের অনুমতি না দিলে হোটেলের নির্ধারিত ফ্লোরে / রেস্টুরেন্ট হতে খাবার এনে তাদের নিয়মমত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাবার খেতে হবে।
(২) বিশেষ করে ফাইভ স্টার, ফোরস্টার হোটেলগুলোতে এজেন্সীর লোকদের খানা নিয়ে প্রবেশ করতে দেয় না। হাজীগণ নিজে নিজে খাবার নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে আমরা কাছাকাছি একটি হোটেল ঠিক করে দিব। সেখান থেকে খাবার এনে খেতে হবে অথবা খাবারের জন্য নির্ধারিত রিয়াল
ফেরত দেয়া হবে। এজেন্সীর পরিবেশিত খাবার কারো পছন্দ না হলে বা খাবার দিতে আইনগত কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে মক্কা-মদিনায় খাবারের জন্য এজেন্সীর প্যাকেজে উল্লেখিত রিয়াল বা সমপরিমাণ টাকা ফেরত দেয়া হবে।
(৩) হজের পাঁচ দিন মিনা-আরাফাতে খানা কেউ না খেলেও টাকা ফেরত দেয়া
হবে না। কারণ মিনা-আরাফাতে খাবার গ্রহণ না করার কোন অপশন নেই। এই পাঁচদিনের খানার টাকা সৌদি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত মুয়াল্লিমকে পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। এই টাকা পরিশোধ না করলে কোন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু করা হয় না।
জিলহজ্জ মাসের ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন তিনবেলা খাবার মিনা ও আরাফাতের তাবুতে সরবরাহ করা হবে। এ সময় কেউ বাসায় গেলে বা অন্য কোথাও থাকলে তিনি নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে খাবার খাবেন। মুযদালিফার রাতে কোন খাবার সরবরাহ করা হবে না। যাতায়াতের পথে এজেন্সী কোন খাবার সরবরাহ করবে না। এয়ারলাইন্স এবং খুবই জরুরী বিষয়। প্রতি বছরের ন্যায় সকল হজযাত্রী সৌদি এয়ারলাইন্সে প্রেরণের চেষ্টা করা হবে। তবে টিকেটের সংকট দেখা দিলে সৌদি নাস এয়ার বা বাংলাদেশ বিমানে বা সরকার অনুমোদিত যে কোন এয়ারলাইন্সে টিকেট করা হতে পারে। টিকেট বিতরণে সরকার বা এয়ারলাইন্স কর্তৃক কোন নিয়ম করা হলে তা প্রযোজ্য হবে। টিকেট প্রাপ্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মক্কা-মদিনার বাড়ী ভাড়া করা হবে। সে ক্ষেত্রে শর্ট স্পেশাল প্যাকেজের যাত্রী ছাড়া অন্য কেউ এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করে শর্ট করতে চাইলে নিজ খরচে নিজ দায়িত্বে করবেন। এজেন্সী সহযোগিতা করবে।
(১) হজ্জ প্যাকের ঘোষণার পর বা যে কোন সময় বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকার কর্তৃক যে কোন ধরণের আইন, নিয়ম-বিধি এজেন্সী এবং সকল হজযাত্রী মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
(২) প্যাকেজে ঘোষিত রিয়ালের মূল্য যদি বৃদ্ধি পায় বা প্যাকেজে উল্লেখ নেই এমন কোন খরচ, নতুন কোন চার্জ আরোপিত হলে তা হজ্জযাত্রী বহন করবেন। সরকার কর্তৃক কোন খরচ কমানো হলে তার সুবিধাও হজ্জযাত্রীগণ পাবেন।
(৩) দূরের হজ্জযাত্রীদের ফ্লাইটের একদিন আগে আশকোনা হজক্যাম্পে আসতে হবে। আশকোনা হজক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকা ও পার্শ্ববর্তি জেলার হাজীগণ সরকার বা এয়ারলাইন্স নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকা এয়ারপোর্টে বা আশকোন হজ ক্যাম্পে আসতে হবে। ঢাকা বা জেদ্দায় ইমিগ্রেশনে সময় বেশী লাগলে সে জন্য এজেন্সী দায়ী নয়।
(৪) পাসপোর্টের ত্রুটি, আইনগত জটিলতার জন্য ভিসা না হলে বা সরকারী কোন বিধি-নিষেধের ফলে কাউকে দেশত্যাগে বিরত রাখা হলে এর দায়ভার এজেন্সী বহন করবে না।
(৫) প্যাকেজে উল্লেখ নেই এমন কোন সেবা প্রয়োজন হলে সম্ভবমত এজেন্সী তার ব্যবস্থা করে দিবে। তবে এ বাবদ যাবতীয় খরচ সংশ্লিষ্ট হাজী সাহেব বহন করবেন।
(৬) আবাসিক সীট বণ্টন, ফ্লাইট নির্ধারণ ইত্যাদি এজেন্সীর দায়িত্বে করা হবে। যাকে যার সাথে দেয়া হবে তিনি তার সাথেই থাকবেন। মক্কা-মদিনার রুম সেটিং ভিন্ন ভিন্ন হবে। কোন অজুহাতে কেউ কারো সাথে থাকব না বলে দাবী করতে পারবেন না। মক্কা-মদিনার প্রতিটি রুমে এসি আছে। কেউ এসি ব্যবহার করতে না পারলে আগেই জানিয়ে পৃথক রুম নিবেন। কেউ পৃথক রুম চাইলে বা অন্য কোন সার্ভিস চাইলে আগেই সেভাবে বলে বুকিং দিতে হবে ।
জটিল রোগে আক্রান্ত বা হজ্জের কাজ করতে অক্ষম কেউ নিজের অবস্থা গোপন করে হজ্জের নিবন্ধন করবেন না।
(৭) ল্যাগেজ বুকিং দেয়া এবং সংগ্রহ করা হজ্জযাত্রীর দায়িত্বে করবেন। ল্যাগেজ হারিয়ে গেলে এজেন্সীকে দায়ী করা যাবে না। ল্যাগেজ খুঁজে বের করার জন্য এজেন্সী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।
(৮) বাড়ী ভাড়া, মক্কা হতে মদিনায় আগমনে বাস প্রাপ্তি ও ফ্লাইট জটিলতার দরুন অনেক সময় মদিনায় ৪০ ওয়াক্ত নামায পূর্ণ করা সম্ভব হয় না। বাস্তব কারণে মদিনায় ৪০ ওয়াক্ত নামায পূর্ণ না হলে এজেন্সী দায়ী থাকবে না।
(৯) হচ্ছ গাইডের দায়িত্ব হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দান, রাস্তা চিনিয়ে দেয়া, হজ্জ-উমরার সময় দোয়া-কালাম পড়িয়ে দেয়া, করণীয়-বর্জনীয় বিষয় অবহিত করা, অসুখ-বিসুখ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। কারো মালামাল বহন করা গাইডের দায়িত্ব নয় ।
শীর্শার হোটেল প্যাকেজ যারা নিয়েছেন জামারাতের কাছে তাদের হোটেল থাকায় কংকর নিক্ষেপ করে দীর্ঘ ইউটার্ণ করে তাবুতে ফিরতে হয় না। কংকর নিক্ষেপ করে তারা হোটেলে চলে যেতে পারেন। বিশ্রাম নিয়ে রাতে তাবুতে ফিরতে পারেন। খরচ একটু বেশী হলেও শীর্শার প্যাকেজ নেয়া হজ্জের কাজের জন্য খুবই সুবিধাজনক।
জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করে আবার মিনার তাবুতে ফিরে যেতে হবে। মিনা-আরাফাতের তাবুর প্রকৃত অবস্থান হচ্ছের ৩/৪ দিন আগে নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই আমাদের তাবু জামারাত হতে কতটুকু দূরে হবে তা আগে জানানো সম্ভব নয়। মিনা-আরাফাতের তাবু , যাতায়াতের বাস, তাবুতে যাবার, জায়গা বরাদ্দ, ম্যাট্রেস, বালিশ, চাদর, এসব স্থানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা সব কিছু সৌদি সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সৌদি সরকারের নিয়োগকৃত সৌদি সংস্থা বা মুয়াল্লিমগণ করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বা এজেন্সীর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এজেন্সী এসব স্থানের সেবাগুলো নিশ্চিত করার জন্য আপ্রাণ ও সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে।
পবিত্র হজ্জের টাকা এজেন্সীতে জমা দেয়ার নিয়ম:
সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্যাকেজের সম্পূর্ণ টাকা এজেন্সীর অনলাইন ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি অথবা ক্রস চেকের মাধ্যমে অথবা মালিকের স্বাক্ষরিত পাকা রশিদের মাধ্যমে এজেন্সীতে জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেয়ার ব্যাংক স্লিপ এবং মালিকের স্বাক্ষরিত পাকা রশিদ অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। হিসাবে কোন সমস্যা হলে ব্যাংক স্লিপ এবং পাকা রশিদ প্রদর্শনের মাধ্যমে হিসাব চূড়ান্ত করা হবে। এজেন্সীর ব্যাংক একাউন্ট বা পাকা রশিদ ব্যতিত কারো হাতে নগদ টাকার লেন-দেন করলে তার কোন দায়-দায়িত্ব এজেন্সী বহন করবে না। টাকা বকেয়ার কারণে কারো নিবন্ধন বাতিল হলে, ভিসা না হলে বা টিকেট কেনসেল হলে বা গ্রুপ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সে জন্য কোনক্রমেই এজেন্সীকে দায়ী করা যাবে
না। যিনি যে প্যাকেজে হচ্ছে গমন করতে চান- সেই প্যাকেজের মোট খরচ হতে প্রাক নিবন্ধন, নিবন্ধন বাবদ পূর্বে যা জমা দিয়েছেন সেটি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট টাকা জমা দিবেন।
পবিত্র হজ্জের সফরে আল্লাহর মেহমানদেরকে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো যথাযথভাবে পূর্ণ করার স্বার্থে প্যাকেজের সমৃদয় টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এজেন্সীর একাউন্টে জমা দেয়ার জন্য করজোড়ে বিনীত অনুরোধ রইল।
এজেন্সীর ব্যাংক একাউন্ট
( বাংলাদেশের যে কোন শাখা থেকে সরাসরি টাকা জমা দিতে পারবেন )
হিসাবের নাম : এস জে ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল
চলিত হিসাব নং : ০২০১২২০০০০৮০৩
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ বনানী শাখা ঢাকা
অনলাইনে টাকা জমা দিলে এজেন্সীর মোবাইল ০১৭১২-৮৬৪-৮২০ নম্বরে হজযাত্রীর নাম ব্যাংক শাখা ও টাকার পরিমাণ লিখে ম্যাসেজ অথবা জমা স্লিপের ছবি ওয়াটস্যাপ, ইমুতে
দিতে হবে।
উল্লেখ্য :ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার সময় অবশ্যই যেন হাজীর নাম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে টাকা পোস্টিং দেয় সেটি ব্যাংকের অফিসারদের জোর দিয়ে অনুরোধ করবেন। নতুবা জমাকৃত টাকাগুলো সনাক্ত করতে অনেক অসুবিধা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা পোস্টিং নেয়ার সময় জমাকারীর নাম লিখতে আইনত বাধ্য। অনেক সময় দেখা যায় নামতো দেখেই না বরং শাখার নাম পর্যন্ত লেখে না। ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার সময় সম্মানিত হাজী সাহেবগণ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।